ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের খোরামাবাদে নিহত ৫, নিহত বেড়ে ১৫

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় খোরামাবাদ শহরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রভাবশালী সামরিক সংগঠন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। আল-জাজিরার খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, ইরানের আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানিয়েছে, চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। তারা জানিয়েছে, শুধু বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটেরই ১৫ জন কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

গত ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই তীব্র হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে ইরানের ভেতরে সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। এতে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণু বিজ্ঞানী।

শুধু সামরিক স্থাপনাই নয়, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র, সরকারি কার্যালয় এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। এতে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলাগুলো ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনাকে আরও ঘনীভূত করছে এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এক অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকে এখনও এ ধরনের হামলার জবাবে বড় কোনো পাল্টা আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, আইআরজিসি এরই মধ্যে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।

অবশ্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা মনে করছেন, এমন সরাসরি সংঘর্ষ অব্যাহত থাকলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে- যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে।

 

নতুনকথা/এএস

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের খোরামাবাদে নিহত ৫, নিহত বেড়ে ১৫

আপডেট সময় ০৪:০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় খোরামাবাদ শহরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রভাবশালী সামরিক সংগঠন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। আল-জাজিরার খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, ইরানের আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানিয়েছে, চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। তারা জানিয়েছে, শুধু বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটেরই ১৫ জন কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

গত ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই তীব্র হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে ইরানের ভেতরে সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। এতে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণু বিজ্ঞানী।

শুধু সামরিক স্থাপনাই নয়, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র, সরকারি কার্যালয় এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। এতে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলাগুলো ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনাকে আরও ঘনীভূত করছে এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এক অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকে এখনও এ ধরনের হামলার জবাবে বড় কোনো পাল্টা আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, আইআরজিসি এরই মধ্যে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।

অবশ্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা মনে করছেন, এমন সরাসরি সংঘর্ষ অব্যাহত থাকলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে- যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে।

 

নতুনকথা/এএস