ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সপ্তমবারের মতো ভাঙনের মুখে জাতীয় পার্টি: একা হয়ে যাচ্ছেন জিএম কাদের

চেয়ারম্যানের ‘একক ক্ষমতা’ ঘিরে ফের দলীয় সংঘাত, রওশনপন্থিদের সম্মেলনের ঘোষণা

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ফের ভাঙনের মুখে। দলের বিতর্কিত গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারা ঘিরে চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সিনিয়র নেতাদের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়েই সপ্তমবারের মতো বিভক্তির মুখোমুখি দলটি।

চলতি মাসেই জাপার একাংশ আগামী ২৮ জুন কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার ঘোষণা দিয়েছে—যেখানে অংশ নিচ্ছেন না জিএম কাদের। বরং এই সম্মেলনকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের নেতাদের অংশ না নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বিদ্রোহী অংশ দাবি করছে, চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে সম্মেলন স্থগিত করতে পারেন না।

বিতর্কিত ২০(ক) ধারা অনুযায়ী, জাপার চেয়ারম্যান দলীয় সিদ্ধান্তে কাউকে পদ থেকে সরানো, বহিষ্কার কিংবা পদায়ন করতে পারেন- তাতে কোনো জবাবদিহিতা বা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

দলের সিনিয়র নেতাদের ভাষ্য, এই ধারা স্বৈরতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক। এটি না বদলালে দলের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে। কিন্তু জিএম কাদের এই ধারা পরিবর্তনে নারাজ। ফলে দলের ভেতর থেকেই উঠেছে বিদ্রোহের সুর।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আমরা চেয়েছি ধারা পরিবর্তন হোক। চেয়েছি দলীয় শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক চর্চা ফিরুক। কিন্তু তা না হওয়ায় কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি।”

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়- এবারের বিদ্রোহে জিএম কাদের পাশে পাচ্ছেন না দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকেও। চুন্নু নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ২০(ক) ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন এবং সম্মেলন স্থগিত করার একক সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।

চুন্নু বলেন, “গণতন্ত্রের কথা বলে কেউ যদি এককভাবে সব সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। চেয়ারম্যান যদি ধারা সংশোধনে সম্মত না হন, তবে আমি নিজের অবস্থান নিয়ে ভাবব।”

২০ মে প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতভাবে ২৮ জুন সম্মেলনের দিন নির্ধারিত হলেও, পরে জিএম কাদের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের হল বরাদ্দ বাতিল হওয়ায় সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন।

এর জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার পাল্টা বিবৃতিতে বলেন, যেহেতু সম্মেলনের তারিখ প্রেসিডিয়াম সভায় নির্ধারিত, তাই এককভাবে তা বাতিল করা যায় না। প্রয়োজনে কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সম্মেলন হবে।

বিদ্রোহী অংশ জানিয়েছে, তারা ঘোষিত সময় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই কাউন্সিল করবে এবং সেখানেই নতুন চেয়ারম্যান-মহাসচিব নির্বাচন হবে।

জিএম কাদেরের অনুসারীরা এই ভাঙনের পেছনে সরকারের ইন্ধনের অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন,
“২০১৯ সালে সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এখন আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে নতুন কাউন্সিল করার জন্য। অথচ বিএনপি ১৭ বছরেও কাউন্সিল করেনি, তাদের ওপর কোনো চাপ নেই। এতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন জাগে।”

একজন কাদেরপন্থি সাবেক এমপি বলেন, আমরা হল পাই না, মাঠও পাই না। কেউ ভাড়া দিচ্ছে না। সরকারের ‘শীতল চাপ’ কাজ করছে বলেই আমাদের একঘরে করে ফেলা হচ্ছে।

আসন্ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী অংশ জাপার বিভিন্ন বিভক্ত অংশকে এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার।

আলোচনা হয়েছে রওশন এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শেখ শহিদুল ইসলাম ও এম এ মতিনপুত্রদের সঙ্গে। তাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা বলেন, আমরা বৃহত্তর ঐক্যের পক্ষে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল হলে তাতে থাকার ইচ্ছা আছে। রওশন এরশাদও সম্ভব হলে যোগ দেবেন বা বার্তা পাঠাবেন।

জিএম কাদেরপন্থিরা বলছেন, এত দ্রুত ও এত বড় আকারে বিদ্রোহ হবে- এটা তারা কল্পনাও করেননি।

দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আগের বিদ্রোহগুলো অনেক সময় ধরে গড়ে উঠেছে। কিন্তু এবার যা হয়েছে, সেটা যেন ঝড়ের মতো। দলের বর্তমান মহাসচিবও যখন আমাদের বিপরীতে অবস্থান নেন, তখন ভেতরে থেকেই একটা ধাক্কা লাগে। চেয়ারম্যান নিজেও নার্ভাস।

২৮ জুনের ঘোষিত সম্মেলনকে ঠেকাতে জিএম কাদেরপন্থিরা জেলা-উপজেলায় চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলনের কোনো বৈধতা নেই, এতে কেউ অংশ নেবেন না।

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি তৈরি হলে পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই জেনারেল চিঠি দিয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ‘জাতীয় পার্টি’ নামে সাতটি দল রয়েছে। এর মধ্যে তিনটির নেতৃত্বে আছেন এরশাদের স্ত্রী বা ভাইয়েরা। এরশাদের জীবদ্দশায় দল ভেঙে পাঁচটি ভাগ হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর নতুন করে যুক্ত হয় বিদিশা সিদ্দিকের ‘নতুন জাপা’।

বর্তমানে সক্রিয় ‘জাতীয় পার্টি’ নামধারী দলগুলো:

  • জাতীয় পার্টি (জিএম কাদের)
  • নতুন জাপা (বিদিশা সিদ্দিক)
  • জাতীয় পার্টি (জেপি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু)
  • বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব রহমান পার্থ)
  • জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর আহমদ)
  • বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (ডা. এম এ মুকিত)
  • জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ)

দলীয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অভাব, একক ক্ষমতা চর্চা এবং বারবার বিভক্তি- এসব মিলিয়ে জাতীয় পার্টি আজ অস্তিত্ব সংকটে। আসন্ন ২৮ জুনের কাউন্সিল দলটিকে ঐক্যবদ্ধ করবে নাকি আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

 

নতুনকথা/এএস

ট্যাগস :

বিপ্লবী প্রেরণার উৎস মুকুল সেন

সপ্তমবারের মতো ভাঙনের মুখে জাতীয় পার্টি: একা হয়ে যাচ্ছেন জিএম কাদের

আপডেট সময় ০১:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

চেয়ারম্যানের ‘একক ক্ষমতা’ ঘিরে ফের দলীয় সংঘাত, রওশনপন্থিদের সম্মেলনের ঘোষণা

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ফের ভাঙনের মুখে। দলের বিতর্কিত গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারা ঘিরে চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সিনিয়র নেতাদের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়েই সপ্তমবারের মতো বিভক্তির মুখোমুখি দলটি।

চলতি মাসেই জাপার একাংশ আগামী ২৮ জুন কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার ঘোষণা দিয়েছে—যেখানে অংশ নিচ্ছেন না জিএম কাদের। বরং এই সম্মেলনকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের নেতাদের অংশ না নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বিদ্রোহী অংশ দাবি করছে, চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে সম্মেলন স্থগিত করতে পারেন না।

বিতর্কিত ২০(ক) ধারা অনুযায়ী, জাপার চেয়ারম্যান দলীয় সিদ্ধান্তে কাউকে পদ থেকে সরানো, বহিষ্কার কিংবা পদায়ন করতে পারেন- তাতে কোনো জবাবদিহিতা বা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

দলের সিনিয়র নেতাদের ভাষ্য, এই ধারা স্বৈরতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক। এটি না বদলালে দলের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে। কিন্তু জিএম কাদের এই ধারা পরিবর্তনে নারাজ। ফলে দলের ভেতর থেকেই উঠেছে বিদ্রোহের সুর।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আমরা চেয়েছি ধারা পরিবর্তন হোক। চেয়েছি দলীয় শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক চর্চা ফিরুক। কিন্তু তা না হওয়ায় কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি।”

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়- এবারের বিদ্রোহে জিএম কাদের পাশে পাচ্ছেন না দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকেও। চুন্নু নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ২০(ক) ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন এবং সম্মেলন স্থগিত করার একক সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।

চুন্নু বলেন, “গণতন্ত্রের কথা বলে কেউ যদি এককভাবে সব সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। চেয়ারম্যান যদি ধারা সংশোধনে সম্মত না হন, তবে আমি নিজের অবস্থান নিয়ে ভাবব।”

২০ মে প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতভাবে ২৮ জুন সম্মেলনের দিন নির্ধারিত হলেও, পরে জিএম কাদের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের হল বরাদ্দ বাতিল হওয়ায় সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন।

এর জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার পাল্টা বিবৃতিতে বলেন, যেহেতু সম্মেলনের তারিখ প্রেসিডিয়াম সভায় নির্ধারিত, তাই এককভাবে তা বাতিল করা যায় না। প্রয়োজনে কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সম্মেলন হবে।

বিদ্রোহী অংশ জানিয়েছে, তারা ঘোষিত সময় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই কাউন্সিল করবে এবং সেখানেই নতুন চেয়ারম্যান-মহাসচিব নির্বাচন হবে।

জিএম কাদেরের অনুসারীরা এই ভাঙনের পেছনে সরকারের ইন্ধনের অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন,
“২০১৯ সালে সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এখন আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে নতুন কাউন্সিল করার জন্য। অথচ বিএনপি ১৭ বছরেও কাউন্সিল করেনি, তাদের ওপর কোনো চাপ নেই। এতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন জাগে।”

একজন কাদেরপন্থি সাবেক এমপি বলেন, আমরা হল পাই না, মাঠও পাই না। কেউ ভাড়া দিচ্ছে না। সরকারের ‘শীতল চাপ’ কাজ করছে বলেই আমাদের একঘরে করে ফেলা হচ্ছে।

আসন্ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী অংশ জাপার বিভিন্ন বিভক্ত অংশকে এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার।

আলোচনা হয়েছে রওশন এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শেখ শহিদুল ইসলাম ও এম এ মতিনপুত্রদের সঙ্গে। তাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা বলেন, আমরা বৃহত্তর ঐক্যের পক্ষে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল হলে তাতে থাকার ইচ্ছা আছে। রওশন এরশাদও সম্ভব হলে যোগ দেবেন বা বার্তা পাঠাবেন।

জিএম কাদেরপন্থিরা বলছেন, এত দ্রুত ও এত বড় আকারে বিদ্রোহ হবে- এটা তারা কল্পনাও করেননি।

দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আগের বিদ্রোহগুলো অনেক সময় ধরে গড়ে উঠেছে। কিন্তু এবার যা হয়েছে, সেটা যেন ঝড়ের মতো। দলের বর্তমান মহাসচিবও যখন আমাদের বিপরীতে অবস্থান নেন, তখন ভেতরে থেকেই একটা ধাক্কা লাগে। চেয়ারম্যান নিজেও নার্ভাস।

২৮ জুনের ঘোষিত সম্মেলনকে ঠেকাতে জিএম কাদেরপন্থিরা জেলা-উপজেলায় চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলনের কোনো বৈধতা নেই, এতে কেউ অংশ নেবেন না।

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি তৈরি হলে পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই জেনারেল চিঠি দিয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ‘জাতীয় পার্টি’ নামে সাতটি দল রয়েছে। এর মধ্যে তিনটির নেতৃত্বে আছেন এরশাদের স্ত্রী বা ভাইয়েরা। এরশাদের জীবদ্দশায় দল ভেঙে পাঁচটি ভাগ হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর নতুন করে যুক্ত হয় বিদিশা সিদ্দিকের ‘নতুন জাপা’।

বর্তমানে সক্রিয় ‘জাতীয় পার্টি’ নামধারী দলগুলো:

  • জাতীয় পার্টি (জিএম কাদের)
  • নতুন জাপা (বিদিশা সিদ্দিক)
  • জাতীয় পার্টি (জেপি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু)
  • বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব রহমান পার্থ)
  • জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর আহমদ)
  • বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (ডা. এম এ মুকিত)
  • জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ)

দলীয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অভাব, একক ক্ষমতা চর্চা এবং বারবার বিভক্তি- এসব মিলিয়ে জাতীয় পার্টি আজ অস্তিত্ব সংকটে। আসন্ন ২৮ জুনের কাউন্সিল দলটিকে ঐক্যবদ্ধ করবে নাকি আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

 

নতুনকথা/এএস