গোপালগঞ্জে উত্তেজিত জনগণকে দমন করার নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনার পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে।
১৬ জুলাই প্রকাশিত বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় সুবিধা ব্যবহার করে গোপালগঞ্জে উসকানিমূলক কর্মসূচি পালন করে, যা স্থানীয় জনগণের ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটূক্তিমূলক বক্তব্যে গোপালগঞ্জবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
দলটি আরও জানায়, প্রশাসন আগাম তথ্য থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি এবং একটি দলের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে জনতার আবেগ বুঝতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, এই ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচনপূর্ব উত্তেজনা তৈরি করে রাজনৈতিক অস্থিরতা জিইয়ে রাখার চেষ্টা থাকতে পারে, যা জাতীয় স্বার্থবিরোধী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনাটি শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে দেশে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিরোধী কণ্ঠ রোধের ধারাবাহিক প্রবণতার অংশ।
তারা বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনো মায়ের কোল খালি হোক, কোনো পরিবার আর রক্তমাখা নিথর দেহ ঘরে নিয়ে ফিরে যাক। রাষ্ট্র যদি জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেটি তার নৈতিক বৈধতাও হারায়।’
ওয়ার্কার্স পার্টি দ্রুত বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায়, যাতে প্রকৃত অপরাধীরা চিহ্নিত ও শাস্তির আওতায় আসে। একই সঙ্গে তারা আহত ও নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের আহ্বান জানায়।