ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈঠকের পর বিএনপি-ইউনূস ঘোষণায় নতুন মোড়, জামায়াত যাচ্ছে না ঐকমত্য সংলাপে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপের এই গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে দলটির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে সম্ভাব্য নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জামায়াতের এই সিদ্ধান্ত এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অধিবেশনে অংশ নিয়েছে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এনসিপির তিন সদস্যের একটি দল সংলাপে অংশ নেয়।

জামায়াতের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “আজ আমরা সংলাপে যাচ্ছি না।” তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন ঘিরে বিরোধী পক্ষের ভেতরে কৌশলগত মতপার্থক্য এখনও পুরোপুরি কাটেনি। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সাম্প্রতিক দূরত্ব এবং পৃথক কূটনৈতিক যোগাযোগ এই অনুপস্থিতির পেছনে বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজনের পথ খুঁজছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। তবে জামায়াতের এই অনুপস্থিতি সংলাপের ধারাবাহিকতা ও সার্বিক ঐক্যের চিত্রে এক ধরনের প্রশ্ন তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকে।

 

নতুন কথা/এএস

বৈঠকের পর বিএনপি-ইউনূস ঘোষণায় নতুন মোড়, জামায়াত যাচ্ছে না ঐকমত্য সংলাপে

আপডেট সময় ১২:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপের এই গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে দলটির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে সম্ভাব্য নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জামায়াতের এই সিদ্ধান্ত এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অধিবেশনে অংশ নিয়েছে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এনসিপির তিন সদস্যের একটি দল সংলাপে অংশ নেয়।

জামায়াতের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “আজ আমরা সংলাপে যাচ্ছি না।” তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন ঘিরে বিরোধী পক্ষের ভেতরে কৌশলগত মতপার্থক্য এখনও পুরোপুরি কাটেনি। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সাম্প্রতিক দূরত্ব এবং পৃথক কূটনৈতিক যোগাযোগ এই অনুপস্থিতির পেছনে বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজনের পথ খুঁজছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। তবে জামায়াতের এই অনুপস্থিতি সংলাপের ধারাবাহিকতা ও সার্বিক ঐক্যের চিত্রে এক ধরনের প্রশ্ন তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকে।

 

নতুন কথা/এএস