ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চলমান সমস্যা ও নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, “এখন আর বসে থাকার সময় নেই। দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পুরাতন সভাকক্ষে ‘উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে নির্মাণাধীন পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আসিফ মাহমুদ জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চলমান সমস্যা সম্পর্কে সরকার অবগত এবং এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, এটা কোনো একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। আমাদের সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করে থাকে। নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, তাতে আমরা আর নিরব থাকতে পারি না। দ্রুতই সমাধানমুখী উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে সকল পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য।
আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি, এখন সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে আছি। দ্রুত বিস্তারিত আলোচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বৈষম্য প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কিছু এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এমন বৈষম্য দূর করতে হবে। কেউ যেন রাজনৈতিক সুবিধার কারণে অতিরিক্ত সুবিধা না পায়, আবার কেউ বঞ্চিত না হয়- এটা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, গোপালগঞ্জের একটি উপজেলায় গিয়ে যেভাবে উন্নয়ন দেখা যায়, রংপুরের একটি জেলায় সেই তুলনায় উন্নয়ন অনেক কম। এই বৈষম্য আমাদের থামাতে হবে।
উত্তরবঙ্গের দারিদ্র্য ও শিক্ষার হার এখনও তুলনামূলকভাবে বেশি- উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সেখানে গুদাম না থাকায় কৃষকরা ফসলের ভালো দাম পাচ্ছেন না। আমরা গুদাম নির্মাণ ও প্রক্রিয়াকরণ জোন গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। পাশাপাশি তিস্তা নদীর ভাঙনে গৃহহীন হওয়া পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হচ্ছে।
মাত্র ২৩ কোটি টাকায় দেশের ১১টি জেলায় ৪৪টি পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের কথা জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অল্প সময়ের জন্য দায়িত্বে এসেছে। এই সময়ের মধ্যেই আমরা লাইব্রেরির মতো জ্ঞানভিত্তিক প্রকল্পে হাত দিয়েছি। এটা চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রয়োজনীয়।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা এমন একটি লাইব্রেরি চাই, যেখানে মানুষ নিজের আগ্রহে আসবে। যেন এটি কোনো পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত না হয়, বরং প্রাণবন্ত এক পাঠাগার হয়ে ওঠে।
নতুনকথা/এএস