ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শান্তর জোড়া শতক, গলে লঙ্কানদের সামনে রইল কঠিন লক্ষ্য

গলে পঞ্চম দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী- ধীরে ধীরে লিড বাড়ানো, আর শেষ পর্যন্ত এক আক্রমণাত্মক ইনিংস ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়া। আর সেই কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত এক অপরাজিত শতক হাঁকিয়ে টেস্টে দুই ইনিংসে শতকের বিরল কীর্তি গড়েছেন তিনি। তার ইনিংসেই ভর করে টাইগাররা লঙ্কানদের সামনে দাঁড় করিয়েছে ২৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। সময় মাত্র ৩৭ ওভার!

প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ছিলেন অবিচল। শান্তর ১২৫ রানের ইনিংসটি এসেছে ১৯৯ বলে, যেখানে ছিল ৯টি চারের পাশাপাশি তিনটি চোখজুড়ানো ছক্কা। চাপের মুহূর্তে এমন দায়িত্বশীল ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং নিঃসন্দেহে তাকে বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংসগুলোর পাশে রাখবে।

দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ২৮৫/৬- সেখানেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। শান্তর পাশাপাশি ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন সাদমান ইসলাম (৭৬), যিনি ওপেনিংয়ে ইনিংস গড়ে দিয়েছেন, আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম (৪৯) খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যদিও ইনিংসের গতিতে কোনো তড়িঘড়ি ভাব দেখা যায়নি টাইগারদের মধ্যে, বরং ধীরস্থিরভাবে রান তোলার কৌশলই ছিল প্রাধান্যপূর্ণ।

তবে সেই কৌশলই হয়তো শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। কারণ, গলের উইকেট চতুর্থ দিনের পর থেকেই ক্রমশ স্পিনারদের পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। এ অবস্থায় মাত্র ৩৭ ওভারে ২৯৬ রান তাড়া করা যে কোনো দলের জন্যই রীতিমতো পাহাড় ডিঙানোর মতো চ্যালেঞ্জ। শ্রীলঙ্কার জন্য তো বটেই।

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে আছে বৈচিত্র্য ও ধার। স্পিন বিভাগে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান মিলে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চেপে ধরতে পারেন, সঙ্গে পেসার হাসান মাহমুদের গতি ও স্যুইং এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। যদি শুরুতেই উইকেট আসে, তাহলে এই ম্যাচের গতিপথ বদলাতে খুব একটা সময় লাগবে না।

এই টেস্ট জিততে পারলে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম জয়। একইসঙ্গে অধিনায়ক শান্তর হাত ধরেই শুরু হতে পারে দেশের টেস্ট ক্রিকেটে এক নতুন ও আশাব্যঞ্জক অধ্যায়।

ম্যাচ এখন যেখানে দাঁড়িয়ে, তা দেখে বলা যায়- সম্ভাবনার দুয়ার অর্ধেক খুলে গেছে। বাকিটা এখন বাংলাদেশের বোলারদের হাতে। গলে কি দেখা যাবে এক ঐতিহাসিক জয়? সময়ই দেবে উত্তর। তবে শান্ত যে নিজের নেতৃত্বের প্রথম ইনিংসেই দুর্দান্ত বার্তা দিয়েছেন, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

 

নতুনকথা/এএস

শান্তর জোড়া শতক, গলে লঙ্কানদের সামনে রইল কঠিন লক্ষ্য

আপডেট সময় ০৪:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

গলে পঞ্চম দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী- ধীরে ধীরে লিড বাড়ানো, আর শেষ পর্যন্ত এক আক্রমণাত্মক ইনিংস ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়া। আর সেই কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত এক অপরাজিত শতক হাঁকিয়ে টেস্টে দুই ইনিংসে শতকের বিরল কীর্তি গড়েছেন তিনি। তার ইনিংসেই ভর করে টাইগাররা লঙ্কানদের সামনে দাঁড় করিয়েছে ২৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। সময় মাত্র ৩৭ ওভার!

প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ছিলেন অবিচল। শান্তর ১২৫ রানের ইনিংসটি এসেছে ১৯৯ বলে, যেখানে ছিল ৯টি চারের পাশাপাশি তিনটি চোখজুড়ানো ছক্কা। চাপের মুহূর্তে এমন দায়িত্বশীল ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং নিঃসন্দেহে তাকে বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংসগুলোর পাশে রাখবে।

দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ২৮৫/৬- সেখানেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। শান্তর পাশাপাশি ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন সাদমান ইসলাম (৭৬), যিনি ওপেনিংয়ে ইনিংস গড়ে দিয়েছেন, আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম (৪৯) খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যদিও ইনিংসের গতিতে কোনো তড়িঘড়ি ভাব দেখা যায়নি টাইগারদের মধ্যে, বরং ধীরস্থিরভাবে রান তোলার কৌশলই ছিল প্রাধান্যপূর্ণ।

তবে সেই কৌশলই হয়তো শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। কারণ, গলের উইকেট চতুর্থ দিনের পর থেকেই ক্রমশ স্পিনারদের পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। এ অবস্থায় মাত্র ৩৭ ওভারে ২৯৬ রান তাড়া করা যে কোনো দলের জন্যই রীতিমতো পাহাড় ডিঙানোর মতো চ্যালেঞ্জ। শ্রীলঙ্কার জন্য তো বটেই।

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে আছে বৈচিত্র্য ও ধার। স্পিন বিভাগে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান মিলে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চেপে ধরতে পারেন, সঙ্গে পেসার হাসান মাহমুদের গতি ও স্যুইং এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। যদি শুরুতেই উইকেট আসে, তাহলে এই ম্যাচের গতিপথ বদলাতে খুব একটা সময় লাগবে না।

এই টেস্ট জিততে পারলে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম জয়। একইসঙ্গে অধিনায়ক শান্তর হাত ধরেই শুরু হতে পারে দেশের টেস্ট ক্রিকেটে এক নতুন ও আশাব্যঞ্জক অধ্যায়।

ম্যাচ এখন যেখানে দাঁড়িয়ে, তা দেখে বলা যায়- সম্ভাবনার দুয়ার অর্ধেক খুলে গেছে। বাকিটা এখন বাংলাদেশের বোলারদের হাতে। গলে কি দেখা যাবে এক ঐতিহাসিক জয়? সময়ই দেবে উত্তর। তবে শান্ত যে নিজের নেতৃত্বের প্রথম ইনিংসেই দুর্দান্ত বার্তা দিয়েছেন, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

 

নতুনকথা/এএস