ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি সমাজবদলের রাজনীতি করি।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফুটেজ

বিএনপির একজন শীর্ষ নীতিনির্ধারকের সাথে বছর তিনেক আগে কথা হচ্ছিল। আমি যা তাঁকে বলেছি বা বলতে চেয়েছি, তার সারকথা হচ্ছে, ‘ভাই আমি আপনাদের শাসক শ্রেণীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে মাথা ঘামাইনা। আমি শ্রমজীবী শ্রেণীর সাথে শাসকশ্রেণীর দ্বন্দ্ব নিয়ে চিন্তা করি, লেখালেখি করি। আমি সমাজবদলের রাজনীতি করি।’

মজা করে বলেছিলাম, ‘পেশাগতভাবে আমি দ্বন্দ্ব ও শান্তি নিয়ে কাজ করি, আপনারা যদি চান ক্ষমতায় থাকা (তৎকালীন আওয়ামীলীগ) ও ক্ষমতার বাইরে বিএনপির যে দ্বন্দ্ব তা শাসক শ্রেণীর দ্বন্দ্ব, এবং এই দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য কনসালটেন্সি দিতে পারি।’

রাজনৈতিক আলোচনায় আমি আমার এজেন্ডা কি তা জানি। টেবিল থেকে আমার এজেন্ডা সরে যাক, আর আওয়ামীলীগের পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হোক সেটা চাইনি, এবং এখনো চাইনা। ব্যাবস্থাবদলের রাজনীতি নিয়ে সময় দিতে চেয়েছি এবং এখনো সেটাই করছি।

 

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ক্ষুদ্র একটি বামপন্থী গোষ্ঠী আওয়ামীলীগকে ঘৃণা করে, যা রাজনৈতিক নয়, অনেকটা প্যাথলজিকাল। এই ‘বাম’ নামধারী চক্রটি মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘাতক জামাত শিবিরের সাথে হাত মেলাতেও পিছপা হয়না। ২০২৪ এর পর সেটাই দেখলাম। এদের জন্য আওয়ামীলীগ হারাম, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর দল জামাত আরাম।

 

বাংলাদেশে জনগণের গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে, বাংলাদেশের সাম্যবাদী, সমাজতন্ত্রী, বামপন্থী, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির জাতীয় ঐক্য দরকার হবে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের এদেশীয় অনুচর গণশত্রুদের বিপক্ষে। সেজন্য বামপন্থী কর্মীদের সময় এসেছে নতুন করে বিশ্লেষণের, মূল্যায়নের। বাংলাদেশের শাসকশ্রেণীর দল হিসেবে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ধরনের দলের শ্রেণীচরিত্র বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের বিবর্তন নিয়ে চিন্তা ভাবনা পরিষ্কার করতে হবে। একই সাথে বাংলাদেশে ‘রাজাকার আলবদর পরিবারের’ যে উত্থান সেটার প্রমোটার কারা ও শ্রেণীচরিত্র কি, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।

 

বাংলাদেশের ব্যবস্থাবদলের রাজনীতির প্রধান শত্রু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের এদেশীয় মিত্ররা। ভুলে যাওয়া যাবেনা যে ইন্দোনেশিয়াতে ও ইরানে বা আফগানিস্তানে সাম্যবাদী, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রধান ভূমিকা ছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের। দেশীয় ঘাতকরা ছিল সাম্রাজ্যবাদের পুতুল ও অনুচর।

 

আজিজুর রহমান আসাদ।

ট্যাগস :

আমি সমাজবদলের রাজনীতি করি।

আপডেট সময় ০২:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

বিএনপির একজন শীর্ষ নীতিনির্ধারকের সাথে বছর তিনেক আগে কথা হচ্ছিল। আমি যা তাঁকে বলেছি বা বলতে চেয়েছি, তার সারকথা হচ্ছে, ‘ভাই আমি আপনাদের শাসক শ্রেণীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে মাথা ঘামাইনা। আমি শ্রমজীবী শ্রেণীর সাথে শাসকশ্রেণীর দ্বন্দ্ব নিয়ে চিন্তা করি, লেখালেখি করি। আমি সমাজবদলের রাজনীতি করি।’

মজা করে বলেছিলাম, ‘পেশাগতভাবে আমি দ্বন্দ্ব ও শান্তি নিয়ে কাজ করি, আপনারা যদি চান ক্ষমতায় থাকা (তৎকালীন আওয়ামীলীগ) ও ক্ষমতার বাইরে বিএনপির যে দ্বন্দ্ব তা শাসক শ্রেণীর দ্বন্দ্ব, এবং এই দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য কনসালটেন্সি দিতে পারি।’

রাজনৈতিক আলোচনায় আমি আমার এজেন্ডা কি তা জানি। টেবিল থেকে আমার এজেন্ডা সরে যাক, আর আওয়ামীলীগের পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হোক সেটা চাইনি, এবং এখনো চাইনা। ব্যাবস্থাবদলের রাজনীতি নিয়ে সময় দিতে চেয়েছি এবং এখনো সেটাই করছি।

 

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ক্ষুদ্র একটি বামপন্থী গোষ্ঠী আওয়ামীলীগকে ঘৃণা করে, যা রাজনৈতিক নয়, অনেকটা প্যাথলজিকাল। এই ‘বাম’ নামধারী চক্রটি মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘাতক জামাত শিবিরের সাথে হাত মেলাতেও পিছপা হয়না। ২০২৪ এর পর সেটাই দেখলাম। এদের জন্য আওয়ামীলীগ হারাম, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর দল জামাত আরাম।

 

বাংলাদেশে জনগণের গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে, বাংলাদেশের সাম্যবাদী, সমাজতন্ত্রী, বামপন্থী, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির জাতীয় ঐক্য দরকার হবে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের এদেশীয় অনুচর গণশত্রুদের বিপক্ষে। সেজন্য বামপন্থী কর্মীদের সময় এসেছে নতুন করে বিশ্লেষণের, মূল্যায়নের। বাংলাদেশের শাসকশ্রেণীর দল হিসেবে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ধরনের দলের শ্রেণীচরিত্র বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের বিবর্তন নিয়ে চিন্তা ভাবনা পরিষ্কার করতে হবে। একই সাথে বাংলাদেশে ‘রাজাকার আলবদর পরিবারের’ যে উত্থান সেটার প্রমোটার কারা ও শ্রেণীচরিত্র কি, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।

 

বাংলাদেশের ব্যবস্থাবদলের রাজনীতির প্রধান শত্রু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের এদেশীয় মিত্ররা। ভুলে যাওয়া যাবেনা যে ইন্দোনেশিয়াতে ও ইরানে বা আফগানিস্তানে সাম্যবাদী, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রধান ভূমিকা ছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের। দেশীয় ঘাতকরা ছিল সাম্রাজ্যবাদের পুতুল ও অনুচর।

 

আজিজুর রহমান আসাদ।