আমেরিকার ‘সাম্রাজ্যবাদী’ চরিত্র বোঝা যায় নিচের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো দিয়ে:
১) সামরিক হস্তক্ষেপ: ভিয়েতনাম, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া—বিশ্বজুড়ে মার্কিন সামরিক আগ্রাসন।
২) নিয়ন্ত্রণমূলক অর্থনীতি: আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও ডলার আধিপত্যের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।
৩) রাজনৈতিক প্রভাব: অন্য দেশের সরকার পতনে (যেমন চিলি, ইরান, ইউক্রেন) গোয়েন্দা হস্তক্ষেপ বা ‘রেজিম চেঞ্জ’।
৪) সাংস্কৃতিক আধিপত্য: হলিউড, ফাস্ট ফুড, ইংরেজি ভাষা—গ্লোবাল সংস্কৃতিতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ।
৫) নিও-কলোনিয়াল নীতি: স্বাধীন দেশগুলিকে ঋণের ফাঁদ, সামরিক ঘাঁটি ও বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
আমি সাম্রাজ্যবাদের ‘রাজনৈতিক অর্থনীতি’ জটিল আলোচনায় আর গেলাম না, যা সাম্রাজ্যবাদ বোঝার মার্ক্সবাদী অবস্থান। খোলা চোখেই সাম্রাজ্যবাদ কি তা বোঝা যায়, কোন তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ছাড়াই। যখন কেউ ভারত, চীন, রাশিয়া বা অন্যকোন দেশের সাথে আমেরিকার তুলনা করেন, তাদের চিন্তার বিভ্রান্তি দুর হবে বলে আশাকরি।
আজিজুর রহমান আসাদ।