ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বাবুর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পার্বত্য চুক্তি বাতিলের কথা ইতিহাস মুছে ফেলার আয়োজন। রাজনীতির নতুন মুখোশ, বামপন্থার বিভ্রান্তি ও ভবিষ্যতের সন্ধান চাঁদপুরে সিনিয়র যুব রেড ক্রিসেন্ট ফোরামের নতুন কমিটি গঠন কাবুলে আসন্ন পানি সংকট গোপালগঞ্জে জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ আবুল বারাকত এতদিন বাইরে ছিলেন সেটাই অনেক!

১৭ বছর পর ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হতে যাচ্ছে: ড. ইউনূস

১৭ বছর পর বাংলাদেশ সত্যিকারের একটি নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে – যা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। এমন আশাবাদী মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে আয়োজিত এক বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের পথে আছি, যা কেবল অংশগ্রহণমূলকই নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

তিনি জানান, একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে পৃথক কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনগুলোর সুপারিশই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে,” – বলেন প্রধান উপদেষ্টা। আমাদের মূল কাজ হলো – জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা।

তিনি আরও জানান, ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত হচ্ছে, যা আগামী জুলাই মাসেই জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এটি হবে আগামীর রূপরেখা ও জাতীয় পুনর্গঠনের দিকনির্দেশনা।

সাক্ষাৎকারে সরকারি সেবায় স্বচ্ছতা ও ডিজিটাল সহজীকরণের কথাও তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

এক সময় পাসপোর্ট কিংবা অন্যান্য সরকারি সেবা পেতে দালালদের দ্বারস্থ হতে হতো। এতে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতো। এখন আমরা সে চিত্র বদলে দিচ্ছি। পাসপোর্টসহ অধিকাংশ সেবা অনলাইনে নেওয়া যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে – বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন অংশগ্রহণকারীর প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেন, নির্বাচনের পর আমি কোনো রাজনৈতিক দায়িত্বে থাকতে চাই না। আমার কাজ হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।

তিনি প্রত্যাশা করেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে – যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পথ তৈরি করবে।

নতুনকথা/এএস

রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

১৭ বছর পর ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হতে যাচ্ছে: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ১২:০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

১৭ বছর পর বাংলাদেশ সত্যিকারের একটি নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে – যা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। এমন আশাবাদী মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে আয়োজিত এক বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের পথে আছি, যা কেবল অংশগ্রহণমূলকই নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

তিনি জানান, একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে পৃথক কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনগুলোর সুপারিশই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে,” – বলেন প্রধান উপদেষ্টা। আমাদের মূল কাজ হলো – জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা।

তিনি আরও জানান, ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত হচ্ছে, যা আগামী জুলাই মাসেই জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এটি হবে আগামীর রূপরেখা ও জাতীয় পুনর্গঠনের দিকনির্দেশনা।

সাক্ষাৎকারে সরকারি সেবায় স্বচ্ছতা ও ডিজিটাল সহজীকরণের কথাও তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

এক সময় পাসপোর্ট কিংবা অন্যান্য সরকারি সেবা পেতে দালালদের দ্বারস্থ হতে হতো। এতে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতো। এখন আমরা সে চিত্র বদলে দিচ্ছি। পাসপোর্টসহ অধিকাংশ সেবা অনলাইনে নেওয়া যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে – বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন অংশগ্রহণকারীর প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেন, নির্বাচনের পর আমি কোনো রাজনৈতিক দায়িত্বে থাকতে চাই না। আমার কাজ হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।

তিনি প্রত্যাশা করেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে – যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পথ তৈরি করবে।

নতুনকথা/এএস