ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা: অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থী নিরাপত্তা বাহিনীর সামনেই ‘ওপেন সিক্রেট’ পাথর পাচার, আদায় হচ্ছে চাঁদাও কলম্বোতেও টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার ঋণ পেল বাংলাদেশ: রিজার্ভ ফের ২৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে শুক্র-শনিবারও সেবা চালু, খুলে গেল ঢাকা দক্ষিণ সিটির সব অফিস বিদেশে এস আলম চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ যুদ্ধের হাত থেকে মানবতাকে রক্ষা করতে বামপন্থীদের ঐক্য জরুরি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ইরান হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নতুন নেতৃত্বে জহিরুল ও মনিরুল

ইরানে নতুন সামরিক নেতৃত্বে যারা এলেন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক বিমান হামলায় শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন সামরিক নেতার মৃত্যুতে ইরান তার সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন এনেছে। ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি একদিকে যেমন ইসরায়েলের হামলা প্রতিহত করছে, অন্যদিকে তেমনি পাল্টা আঘাত হানছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর থেকে ইসরায়েল যে বহুমুখী আক্রমণ শুরু করেছে তাতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরিসহ অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত হন। ১৯৮০-এর দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই সামরিক কর্মকর্তা সরাসরি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অধীনে কাজ করতেন।

নিহত অন্যদের মধ্যে আছেন সশস্ত্র বাহিনীর উপ-অপারেশন প্রধান মেহদি রাব্বানি এবং গোয়েন্দা উপপ্রধান গোলামরেজা মেহরাবি।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর প্রধান হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন। বিশেষ করে বাহিনীর এলিট অ্যারোস্পেস ডিভিশনের একটি গোপন বাঙ্কারে বৈঠকের সময় ইসরায়েলি হামলায় আটজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন অ্যারোস্পেস প্রধান আলী আকবর হাজিজাদেহ। এই ডিভিশনটি ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিল।

সর্বোচ্চ নেতা খামেনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান আব্দুর রহিম মুসাভিকে। ৬৫ বছর বয়সী এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেলই প্রথম সেনাবাহিনী থেকে আগত ব্যক্তি যিনি চিফ অব স্টাফ পদে বসছেন; পূর্ববর্তী সবাই ছিলেন আইআরজিসি থেকে।

আইআরজিসির নতুন প্রধান করা হয়েছে মোহাম্মদ পাকপুরকে। তিনি ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় বাহিনীর ট্যাঙ্ক ইউনিট ও একটি কমব্যাট ডিভিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্সের প্রধান হিসেবেও তিনি ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

আর্মির নতুন প্রধান হিসেবে খামেনি পদোন্নতি দিয়েছেন আমির হাতামিকে, যিনি এখন মেজর জেনারেল। ৫৯ বছর বয়সী হাতামি ইরাক আগ্রাসনের সময় মেহসাদ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেখানে ইরান বিদ্রোহী এমইকে ও ইরাকি বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ প্রতিহত করে।

আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশনের নতুন প্রধান হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজিদ মুসাভি। তিনি ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন এবং মহাকাশ প্রযুক্তিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি প্রয়াত হাসান তেহরানি মোঘাদ্দামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, যাকে ইরানের মিসাইল কর্মসূচির জনক বলা হয়।

নতুন দায়িত্ব পাওয়া সব কমান্ডারই প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। দেশজুড়ে লাগানো ব্যানারে লেখা হচ্ছে: ‘তোমরাই যুদ্ধ শুরু করেছ, শেষ করব আমরা।‘

আমির হাতামি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার অধীনে সেনাবাহিনী এই ভুয়া ও শিশু-হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের বিরুদ্ধে কার্যকর ও চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবে।‘

গত তিন রাতে নতুন সামরিক নেতৃত্বের অধীনে ইরান শত শত ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে। তারা জানিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়ার জন্য তারা প্রস্তুত।

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা: অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থী

ইরানে নতুন সামরিক নেতৃত্বে যারা এলেন

আপডেট সময় ০৬:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক বিমান হামলায় শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন সামরিক নেতার মৃত্যুতে ইরান তার সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন এনেছে। ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি একদিকে যেমন ইসরায়েলের হামলা প্রতিহত করছে, অন্যদিকে তেমনি পাল্টা আঘাত হানছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর থেকে ইসরায়েল যে বহুমুখী আক্রমণ শুরু করেছে তাতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরিসহ অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত হন। ১৯৮০-এর দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই সামরিক কর্মকর্তা সরাসরি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অধীনে কাজ করতেন।

নিহত অন্যদের মধ্যে আছেন সশস্ত্র বাহিনীর উপ-অপারেশন প্রধান মেহদি রাব্বানি এবং গোয়েন্দা উপপ্রধান গোলামরেজা মেহরাবি।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর প্রধান হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন। বিশেষ করে বাহিনীর এলিট অ্যারোস্পেস ডিভিশনের একটি গোপন বাঙ্কারে বৈঠকের সময় ইসরায়েলি হামলায় আটজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন অ্যারোস্পেস প্রধান আলী আকবর হাজিজাদেহ। এই ডিভিশনটি ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিল।

সর্বোচ্চ নেতা খামেনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান আব্দুর রহিম মুসাভিকে। ৬৫ বছর বয়সী এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেলই প্রথম সেনাবাহিনী থেকে আগত ব্যক্তি যিনি চিফ অব স্টাফ পদে বসছেন; পূর্ববর্তী সবাই ছিলেন আইআরজিসি থেকে।

আইআরজিসির নতুন প্রধান করা হয়েছে মোহাম্মদ পাকপুরকে। তিনি ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় বাহিনীর ট্যাঙ্ক ইউনিট ও একটি কমব্যাট ডিভিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্সের প্রধান হিসেবেও তিনি ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

আর্মির নতুন প্রধান হিসেবে খামেনি পদোন্নতি দিয়েছেন আমির হাতামিকে, যিনি এখন মেজর জেনারেল। ৫৯ বছর বয়সী হাতামি ইরাক আগ্রাসনের সময় মেহসাদ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেখানে ইরান বিদ্রোহী এমইকে ও ইরাকি বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ প্রতিহত করে।

আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশনের নতুন প্রধান হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজিদ মুসাভি। তিনি ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন এবং মহাকাশ প্রযুক্তিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি প্রয়াত হাসান তেহরানি মোঘাদ্দামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, যাকে ইরানের মিসাইল কর্মসূচির জনক বলা হয়।

নতুন দায়িত্ব পাওয়া সব কমান্ডারই প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। দেশজুড়ে লাগানো ব্যানারে লেখা হচ্ছে: ‘তোমরাই যুদ্ধ শুরু করেছ, শেষ করব আমরা।‘

আমির হাতামি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার অধীনে সেনাবাহিনী এই ভুয়া ও শিশু-হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের বিরুদ্ধে কার্যকর ও চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবে।‘

গত তিন রাতে নতুন সামরিক নেতৃত্বের অধীনে ইরান শত শত ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে। তারা জানিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়ার জন্য তারা প্রস্তুত।