ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জনসচেতনতা ও নিরাপত্তা- দুইয়ের সমন্বয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের শুধু নিরাপত্তা নয়, জনসচেতনতা ও জনসংযোগের মাধ্যমেও দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১৮ জুন) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘প্রধান উপদেষ্টার দরবার’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা এখন আর শুধু প্রটোকল বা রুট সিকিউরিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জনসচেতনতা, সংবেদনশীলতা ও পেশাদারিত্ব- এসব মিলেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের এসএসএফ।”

তিনি বলেন, “এসএসএফ-এর কাজ অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় এ বাহিনীর দায়িত্ব অনেক বেশি জটিল ও বহুমাত্রিক। আমি তাদের পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় সন্তুষ্ট।”

বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা হুমকির ধরন ও প্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, “শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আজকের দিনে চরম চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এসএসএফ তার সীমিত সম্পদ ও কাঠামোর মধ্যেও চমৎকারভাবে সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাহিনীটি যেন নিয়মিত নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাধ্যমে তা মোকাবিলায় সক্ষম হয়, সে লক্ষ্যে আরও গুরুত্ব দেবে।”

জনদুর্ভোগ কমাতে ভিআইপি ফ্লাইট চলাচলের সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ রাখার পুরোনো নিয়ম তুলে নেওয়ার বিষয়টিও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আগে ভিআইপি ফ্লাইটের জন্য এক ঘণ্টার বেশি সময় বিমানবন্দর কার্যত অচল হয়ে যেত। আমি সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছি, যাতে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সময় এসএসএফ যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে বরং জনসংযোগের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করে। সব ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করাই এই বাহিনীর মূল দায়িত্ব।”

তিনি এসএসএফ সদস্যদের আন্তঃবাহিনী সহযোগিতা ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার তাগিদ দেন।

আধুনিক, দক্ষ ও প্রযুক্তিসম্পন্ন বাহিনী গঠনে এসএসএফ-এর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে চৌকস সদস্য নির্বাচনের মাধ্যমে এসএসএফ যে পেশাদার কাঠামো গড়ে তুলেছে, তা প্রশংসনীয়।”

বিশেষ করে প্রশিক্ষণ সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং ভবিষ্যতে এই সমন্বয় আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

নতুুনকথা/এএস

আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার ঋণ পেল বাংলাদেশ: রিজার্ভ ফের ২৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

জনসচেতনতা ও নিরাপত্তা- দুইয়ের সমন্বয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৫:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের শুধু নিরাপত্তা নয়, জনসচেতনতা ও জনসংযোগের মাধ্যমেও দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১৮ জুন) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘প্রধান উপদেষ্টার দরবার’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা এখন আর শুধু প্রটোকল বা রুট সিকিউরিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জনসচেতনতা, সংবেদনশীলতা ও পেশাদারিত্ব- এসব মিলেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের এসএসএফ।”

তিনি বলেন, “এসএসএফ-এর কাজ অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় এ বাহিনীর দায়িত্ব অনেক বেশি জটিল ও বহুমাত্রিক। আমি তাদের পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় সন্তুষ্ট।”

বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা হুমকির ধরন ও প্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, “শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আজকের দিনে চরম চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এসএসএফ তার সীমিত সম্পদ ও কাঠামোর মধ্যেও চমৎকারভাবে সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাহিনীটি যেন নিয়মিত নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাধ্যমে তা মোকাবিলায় সক্ষম হয়, সে লক্ষ্যে আরও গুরুত্ব দেবে।”

জনদুর্ভোগ কমাতে ভিআইপি ফ্লাইট চলাচলের সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ রাখার পুরোনো নিয়ম তুলে নেওয়ার বিষয়টিও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আগে ভিআইপি ফ্লাইটের জন্য এক ঘণ্টার বেশি সময় বিমানবন্দর কার্যত অচল হয়ে যেত। আমি সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছি, যাতে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সময় এসএসএফ যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে বরং জনসংযোগের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করে। সব ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করাই এই বাহিনীর মূল দায়িত্ব।”

তিনি এসএসএফ সদস্যদের আন্তঃবাহিনী সহযোগিতা ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার তাগিদ দেন।

আধুনিক, দক্ষ ও প্রযুক্তিসম্পন্ন বাহিনী গঠনে এসএসএফ-এর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে চৌকস সদস্য নির্বাচনের মাধ্যমে এসএসএফ যে পেশাদার কাঠামো গড়ে তুলেছে, তা প্রশংসনীয়।”

বিশেষ করে প্রশিক্ষণ সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং ভবিষ্যতে এই সমন্বয় আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

নতুুনকথা/এএস