ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের মরদেহ শনিবার শহীদ মিনারে নেওয়া হবে রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বাবুর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পার্বত্য চুক্তি বাতিলের কথা ইতিহাস মুছে ফেলার আয়োজন। রাজনীতির নতুন মুখোশ, বামপন্থার বিভ্রান্তি ও ভবিষ্যতের সন্ধান চাঁদপুরে সিনিয়র যুব রেড ক্রিসেন্ট ফোরামের নতুন কমিটি গঠন কাবুলে আসন্ন পানি সংকট গোপালগঞ্জে জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ

অধ্যাদেশ বাতিল না হলে বৃহস্পতিবারও সচিবালয়ে কর্মসূচি: কর্মচারী ঐক্য ফোরাম

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ পুরোপুরি বাতিল না হলে বৃহস্পতিবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।

বুধবার সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আমরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে শৃঙ্খলা ও নিয়মে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকারের জারি করা এই কালো অধ্যাদেশ আমাদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। এটি শুধু নিবর্তনমূলক নয়, বরং আমাদের ন্যায্য অধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র।”

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আলোচনার নামে বারবার আস্থার অপব্যবহার করা হয়েছে। আমরা চাই ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালুর ঘোষণা এবং এই ফ্যাসিস্ট আমলাতন্ত্রের অবসান।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই দাবি মানা না হলে আগামী রোববার (২২ জুন) থেকে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

এর আগে, কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, “অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এটি আমাদের পেশাগত মর্যাদার সঙ্গে সম্পৃক্ত।”

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নিয়ে সচিবালয়ের কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২৪ মে থেকে তারা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। অথচ ২৫ মে রাতেই সরকার অধ্যাদেশটি জারি করে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে যেকোনো কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। কর্মচারীরা এটিকে ‘একচেটিয়া ক্ষমতার অপপ্রয়োগের হাতিয়ার’ এবং ‘নিবর্তনমূলক কালো আইন’ হিসেবে দেখছেন।

বুধবার দিনভর সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুপুরে তারা সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।

 

নতুুনকথা/এএস

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের মরদেহ শনিবার শহীদ মিনারে নেওয়া হবে

অধ্যাদেশ বাতিল না হলে বৃহস্পতিবারও সচিবালয়ে কর্মসূচি: কর্মচারী ঐক্য ফোরাম

আপডেট সময় ০৫:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ পুরোপুরি বাতিল না হলে বৃহস্পতিবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।

বুধবার সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আমরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে শৃঙ্খলা ও নিয়মে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকারের জারি করা এই কালো অধ্যাদেশ আমাদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। এটি শুধু নিবর্তনমূলক নয়, বরং আমাদের ন্যায্য অধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র।”

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আলোচনার নামে বারবার আস্থার অপব্যবহার করা হয়েছে। আমরা চাই ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালুর ঘোষণা এবং এই ফ্যাসিস্ট আমলাতন্ত্রের অবসান।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই দাবি মানা না হলে আগামী রোববার (২২ জুন) থেকে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

এর আগে, কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, “অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এটি আমাদের পেশাগত মর্যাদার সঙ্গে সম্পৃক্ত।”

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নিয়ে সচিবালয়ের কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২৪ মে থেকে তারা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। অথচ ২৫ মে রাতেই সরকার অধ্যাদেশটি জারি করে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে যেকোনো কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। কর্মচারীরা এটিকে ‘একচেটিয়া ক্ষমতার অপপ্রয়োগের হাতিয়ার’ এবং ‘নিবর্তনমূলক কালো আইন’ হিসেবে দেখছেন।

বুধবার দিনভর সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুপুরে তারা সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।

 

নতুুনকথা/এএস