ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বাবুর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পার্বত্য চুক্তি বাতিলের কথা ইতিহাস মুছে ফেলার আয়োজন। রাজনীতির নতুন মুখোশ, বামপন্থার বিভ্রান্তি ও ভবিষ্যতের সন্ধান চাঁদপুরে সিনিয়র যুব রেড ক্রিসেন্ট ফোরামের নতুন কমিটি গঠন কাবুলে আসন্ন পানি সংকট গোপালগঞ্জে জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ আবুল বারাকত এতদিন বাইরে ছিলেন সেটাই অনেক!

বিদেশে এস আলম চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মাসুদের এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে বিদেশে থাকা স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক তিনটি আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে মামলাগুলো দায়ের করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক।

কোন কোন সম্পদের ওপর আদেশ:
🔸 সাইপ্রাসে সাইফুল আলমের নামে থাকা একটি দোতলা আবাসিক ভবন।
🔸 ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে সাইফুল আলম ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ১৮টি অফশোর কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ করার আদেশ।
▪ এর মধ্যে হাজেল ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লি. এবং পিকক প্রপার্টি হোল্ডিংস লি. – এস আলম পরিবারের মালিকানাধীন।
▪ বাকি ১৬টি কোম্পানির শেয়ার এককভাবে সাইফুল আলমের নামে।
🔸 জার্সি দ্বীপে (যুক্তরাজ্যের রাজতান্ত্রিক অধিভুক্ত অঞ্চল) সাইফুল আলম ও ফারজানা পারভীনের নামে প্রতিষ্ঠিত ছয়টি ট্রাস্টের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ।

ট্রাস্টে কী ধরনের বিনিয়োগ?
▪ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ছয়টি ট্রাস্টের মধ্যে অন্যতম ‘ম্যাপল ট্রাস্ট’।
▪ এই ট্রাস্টের অধীন রয়েছে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত রেনেসাঁ হোটেল এবং ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন – যেখানে প্রায় ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
▪ অন্য ট্রাস্টগুলোর সম্পদের পরিমাণ এখনো তদন্তাধীন এবং বিস্তারিত জানা যায়নি।

দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ, এসব সম্পদ দেশের বাইরে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থে গড়ে তোলা হয়েছে, যার বৈধ উৎস প্রমাণ করতে পারেননি এস আলম চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী। এসব কারণে আন্তর্জাতিক সম্পদ শনাক্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এস আলম গ্রুপ ও তার মালিক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

 

নতুনকথা/এএস

রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

বিদেশে এস আলম চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

আপডেট সময় ১০:১০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মাসুদের এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে বিদেশে থাকা স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক তিনটি আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে মামলাগুলো দায়ের করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক।

কোন কোন সম্পদের ওপর আদেশ:
🔸 সাইপ্রাসে সাইফুল আলমের নামে থাকা একটি দোতলা আবাসিক ভবন।
🔸 ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে সাইফুল আলম ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ১৮টি অফশোর কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ করার আদেশ।
▪ এর মধ্যে হাজেল ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লি. এবং পিকক প্রপার্টি হোল্ডিংস লি. – এস আলম পরিবারের মালিকানাধীন।
▪ বাকি ১৬টি কোম্পানির শেয়ার এককভাবে সাইফুল আলমের নামে।
🔸 জার্সি দ্বীপে (যুক্তরাজ্যের রাজতান্ত্রিক অধিভুক্ত অঞ্চল) সাইফুল আলম ও ফারজানা পারভীনের নামে প্রতিষ্ঠিত ছয়টি ট্রাস্টের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ।

ট্রাস্টে কী ধরনের বিনিয়োগ?
▪ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ছয়টি ট্রাস্টের মধ্যে অন্যতম ‘ম্যাপল ট্রাস্ট’।
▪ এই ট্রাস্টের অধীন রয়েছে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত রেনেসাঁ হোটেল এবং ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন – যেখানে প্রায় ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
▪ অন্য ট্রাস্টগুলোর সম্পদের পরিমাণ এখনো তদন্তাধীন এবং বিস্তারিত জানা যায়নি।

দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ, এসব সম্পদ দেশের বাইরে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থে গড়ে তোলা হয়েছে, যার বৈধ উৎস প্রমাণ করতে পারেননি এস আলম চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী। এসব কারণে আন্তর্জাতিক সম্পদ শনাক্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এস আলম গ্রুপ ও তার মালিক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

 

নতুনকথা/এএস