ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। আজ সোমবার সংস্থাটির ভিয়েনা সদর দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্বে আণবিক শক্তি ব্যবস্থাপনায় নজরদারির দায়িত্বে থাকা আইএইএর বোর্ড অব গভর্নরসের এই বৈঠক ডাকা হয়েছে ইরানের অনুরোধে। এতে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া, চীন ও ভেনেজুয়েলা।
সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে ইরান ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে চেয়েছিল। তবে এতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হয়। সে কারণে ইরান এখন একটি সাধারণ বিবৃতি দেওয়ার কৌশল নিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার নিন্দা জানানো হবে।
ইরান স্পষ্টভাবে বলেছে, আইএইএর বোর্ড অব গভর্নরদের উচিত ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের কড়া প্রতিবাদ জানানো। তবে বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলবিরোধী কোনো প্রস্তাব গৃহীত হবে কি না- তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই মুহূর্তে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। যদিও এই বৈঠক থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে তাৎক্ষণিক কোনো যুদ্ধবিরতি বা উত্তেজনা প্রশমনের আভাস মেলেনি। বরং বৈঠকটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তোলার কূটনৈতিক একটি প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
আইএইএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ইরানকে একঘরে করতে আগ্রহী পশ্চিমা জোটের মধ্যে মতভিন্নতা দেখা দিলে পরিস্থিতি নতুন মোড় নিতে পারে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল দাবি করে আসছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আসলে গোপন অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা। যদিও ইরান তা বরাবরই অস্বীকার করে বলছে, তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
বিশ্ব রাজনীতির নজর এখন ভিয়েনায় অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকের দিকেই।
নতুন কথা/এএস