৫ আগস্ট ২০২৪-এ বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদল নিছক একটি সরকার পরিবর্তনের ঘটনা নয়—এটি ছিল বহুস্তরীয় সংঘর্ষের ফল, যেখানে জড়িত ছিল অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ, তরুণদের বিদ্রোহ, এবং আন্তর্জাতিক কৌশল।
‘ছাত্র’ পরিচয়ে যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের অনেকেই জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট, কেউ কেউ গোপন ইসলামপন্থী সংগঠনের কর্মী, আবার কারও সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড ও ছায়া শাসনের প্রভাবের অভিযোগও রয়েছে। ফলে গণঅসন্তোষের মুখোশে এক ধরনের মৌলবাদী পুনরুত্থান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের ছক দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, সংসদীয় রাজনীতিতে বিএনপি নামমাত্র অংশগ্রহণ করে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। আর বাংলাদেশের বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো এখনো “ভূমিকা রাখছি” এই আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগছে। তাদের বড় অংশ এখনো শ্রেণি, রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্যবাদ ইস্যুতে একক নেতৃত্বের জায়গায় যেতে পারছে না।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটি সাম্যবাদী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক ভবিষ্যতের চিন্তা করতে হলে আমাদের দরকার—
জনগণের সত্যিকারের অভিজ্ঞতা থেকে শিখে নতুন সংগঠন ও জোট গঠন,
ইসলামপন্থীদের কৌশলী অবস্থান ও আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির চাতুরী শনাক্ত করা,
বামপন্থার বিভ্রান্তি কাটিয়ে তরুণদেরকে সমাজ পরিবর্তনের গুণগত বিকল্প দিতে পারা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে শুধুই স্মৃতিচারণ নয়, বরং এই ভিন্নতর পরিস্থিতিতে নতুন লড়াইয়ের দিকনির্দেশনা।