ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে ভয়াবহ ত্রিমুখী সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ২, আহত ১২

নরসিংদীর পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কে এক ভয়াবহ ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুইজনের, যাদের একজন শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন।

রোববার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের চাকশাল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- তৃষা আক্তার (১২) ও মাখন মিয়া (৩৫)। তৃষা রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে, মাখন মিয়া বেলাব উপজেলার আমতলী গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটির চালক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘যাতায়াত পরিবহন’-এর একটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে পাঁচদোনার চাকশাল মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শিশু তৃষা। মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার যাত্রীদের মধ্যে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসচালক মাখন মিয়া ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।

মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা জানান, “ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক শিশুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

চোখের সামনে এমন দুর্ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং পরে হাসপাতালে পাঠান। অনেকেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটির বেপরোয়া গতি এবং চালকের অবহেলাকেই দায়ী করছেন।

 

নতুন কথা/এএস

নরসিংদীতে ভয়াবহ ত্রিমুখী সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ২, আহত ১২

আপডেট সময় ১২:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

নরসিংদীর পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কে এক ভয়াবহ ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুইজনের, যাদের একজন শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন।

রোববার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের চাকশাল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- তৃষা আক্তার (১২) ও মাখন মিয়া (৩৫)। তৃষা রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে, মাখন মিয়া বেলাব উপজেলার আমতলী গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটির চালক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘যাতায়াত পরিবহন’-এর একটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে পাঁচদোনার চাকশাল মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শিশু তৃষা। মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার যাত্রীদের মধ্যে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসচালক মাখন মিয়া ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।

মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা জানান, “ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক শিশুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

চোখের সামনে এমন দুর্ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং পরে হাসপাতালে পাঠান। অনেকেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটির বেপরোয়া গতি এবং চালকের অবহেলাকেই দায়ী করছেন।

 

নতুন কথা/এএস