ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বাবুর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পার্বত্য চুক্তি বাতিলের কথা ইতিহাস মুছে ফেলার আয়োজন। রাজনীতির নতুন মুখোশ, বামপন্থার বিভ্রান্তি ও ভবিষ্যতের সন্ধান চাঁদপুরে সিনিয়র যুব রেড ক্রিসেন্ট ফোরামের নতুন কমিটি গঠন কাবুলে আসন্ন পানি সংকট গোপালগঞ্জে জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ আবুল বারাকত এতদিন বাইরে ছিলেন সেটাই অনেক!

ইরান থেকে ১০০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু

ইরানে চলমান উত্তেজনা ও ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার প্রেক্ষাপটে সেখানকার বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে তেহরানে অবস্থানরত ১০০ বাংলাদেশির একটি তালিকা প্রস্তুত করে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখা হচ্ছে।

সচিব জানান, “তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি কর্মকর্তা হতাহত হননি। দূতাবাস তাদের পাশে রয়েছে এবং সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে।”

ফেরানোর ক্ষেত্রে সরাসরি নয়, বরং তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে সরকার। নজরুল ইসলাম বলেন, “ফেরানোর জন্য তুরস্ক বা পাকিস্তানের মতো তৃতীয় দেশ ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে। যেখান থেকে সবদিক দিয়ে সুবিধা পাওয়া যাবে, সেই পথেই আমরা ব্যবস্থা নেব।”

পররাষ্ট্র সচিব জানান, “তেহরানে বর্তমানে আনুমানিক ৪০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে ১০০ জন ইতোমধ্যে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। হটলাইন চালু থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

তিনি বলেন, “তেহরানে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও টেলিফোনে যোগাযোগ সম্ভব। যারা এখনো যোগাযোগ করেননি, তারা চাইলে হটলাইনের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।”

তেহরান ছাড়াও ইরানের বন্দর শহর বন্দর আব্বাসে অবস্থানরত প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশির নিরাপত্তার বিষয়েও সরকার সচেতন। সেখানে এখনো যুদ্ধ পরিস্থিতি না থাকলেও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। “যদি তারা কখনো সহায়তা চান, তখনও আমরা সহযোগিতা করব,” বলেন পররাষ্ট্র সচিব।

ইরানে অর্থ পাঠানো নিয়ে জটিলতার বিষয়ে সচিব বলেন, “ইরানে ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞার কারণে টাকা পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে দূতাবাসে কিছু অর্থ মজুত আছে এবং আমাদের একজন কর্মকর্তা ইরানে যাচ্ছেন, যার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হবে। এছাড়া, বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কাছ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”

পরিস্থিতি বিবেচনায় তেহরান থেকে ১০০ বাংলাদেশিকে একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে বিমানযোগে দেশে ফেরানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে কাজ করছে।

সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা তালিকাটি হালনাগাদ করছি। কীভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায়, সেই বিষয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা চলছে।”

 

নতুনকথা/এএস

রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

ইরান থেকে ১০০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু

আপডেট সময় ১০:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ইরানে চলমান উত্তেজনা ও ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার প্রেক্ষাপটে সেখানকার বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে তেহরানে অবস্থানরত ১০০ বাংলাদেশির একটি তালিকা প্রস্তুত করে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখা হচ্ছে।

সচিব জানান, “তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি কর্মকর্তা হতাহত হননি। দূতাবাস তাদের পাশে রয়েছে এবং সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে।”

ফেরানোর ক্ষেত্রে সরাসরি নয়, বরং তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে সরকার। নজরুল ইসলাম বলেন, “ফেরানোর জন্য তুরস্ক বা পাকিস্তানের মতো তৃতীয় দেশ ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে। যেখান থেকে সবদিক দিয়ে সুবিধা পাওয়া যাবে, সেই পথেই আমরা ব্যবস্থা নেব।”

পররাষ্ট্র সচিব জানান, “তেহরানে বর্তমানে আনুমানিক ৪০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে ১০০ জন ইতোমধ্যে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। হটলাইন চালু থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

তিনি বলেন, “তেহরানে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও টেলিফোনে যোগাযোগ সম্ভব। যারা এখনো যোগাযোগ করেননি, তারা চাইলে হটলাইনের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।”

তেহরান ছাড়াও ইরানের বন্দর শহর বন্দর আব্বাসে অবস্থানরত প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশির নিরাপত্তার বিষয়েও সরকার সচেতন। সেখানে এখনো যুদ্ধ পরিস্থিতি না থাকলেও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। “যদি তারা কখনো সহায়তা চান, তখনও আমরা সহযোগিতা করব,” বলেন পররাষ্ট্র সচিব।

ইরানে অর্থ পাঠানো নিয়ে জটিলতার বিষয়ে সচিব বলেন, “ইরানে ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞার কারণে টাকা পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে দূতাবাসে কিছু অর্থ মজুত আছে এবং আমাদের একজন কর্মকর্তা ইরানে যাচ্ছেন, যার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হবে। এছাড়া, বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কাছ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”

পরিস্থিতি বিবেচনায় তেহরান থেকে ১০০ বাংলাদেশিকে একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে বিমানযোগে দেশে ফেরানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে কাজ করছে।

সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা তালিকাটি হালনাগাদ করছি। কীভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায়, সেই বিষয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা চলছে।”

 

নতুনকথা/এএস