চট্টগ্রাম বন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের লাগাতার ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রথম দিনেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে মারাত্মক অচলাবস্থা। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ফলে শুল্কায়ন ও পণ্য খালাস কার্যক্রম প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া বন্দরের কোনো কার্যক্রম এগোয় না। ফলে আমদানি-রপ্তানির পুরো প্রক্রিয়াই এখন থেমে পড়েছে। যদিও আগেই অনুমোদনপ্রাপ্ত কিছু জাহাজে কনটেইনার ওঠানামার কাজ সীমিত আকারে চালু আছে, তবে নতুন কোনো জাহাজ জেটিতে ভেড়াতে পারছে না।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক জাহাজ কোম্পানি এমএসসির হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস আজমীর হোসেন চৌধুরী বলেন, “রপ্তানি শুল্কায়ন বন্ধ থাকায় পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। নতুন কোনো শিপমেন্টও কার্যকর হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে বন্দরের পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।”
এই কর্মসূচির ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে, যেখান দিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ পরিচালিত হয়। শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম বলেন, “কাস্টমস কর্মকর্তাদের এই কর্মসূচি আমদানি-রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট তৈরি করবে। বন্দরে কার্যক্রম বন্ধ থাকলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।”
উল্লেখ্য, রাজস্ব খাতের সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংকট দীর্ঘ হলে ব্যবসায়িক আস্থা ও আন্তর্জাতিক রপ্তানি চুক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক 








