ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারও বাড়ছে করোনা, সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ দিকনির্দেশনা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। একের পর এক নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হচ্ছে, যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বন্দরগুলোতে নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য দেওয়া হয়েছে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।

তিনি জানান, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বেশ কিছু নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে, তাই বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।”

জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা:

১. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরুন।
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. হাঁচি-কাশির সময় মুখ-নাক ঢেকে রাখুন, টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করুন।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলুন।
৫. হাত ধুয়ে ফেলুন ২০ সেকেন্ড ধরে, সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
৭. করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আরও একবার করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। আরটি-পিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে করোনা টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম- কেএন-৯৫ মাস্ক, পিপিই ও ফেস শিল্ড সরবরাহ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ চলছে বলে জানায় অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করে জানায়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালা (আইএইচআর) ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন ও নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নতুনকথা/এএস

ট্যাগস :

আবারও বাড়ছে করোনা, সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ দিকনির্দেশনা

আপডেট সময় ১১:০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। একের পর এক নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হচ্ছে, যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বন্দরগুলোতে নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য দেওয়া হয়েছে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।

তিনি জানান, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বেশ কিছু নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে, তাই বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।”

জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা:

১. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরুন।
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. হাঁচি-কাশির সময় মুখ-নাক ঢেকে রাখুন, টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করুন।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলুন।
৫. হাত ধুয়ে ফেলুন ২০ সেকেন্ড ধরে, সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
৭. করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আরও একবার করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। আরটি-পিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে করোনা টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম- কেএন-৯৫ মাস্ক, পিপিই ও ফেস শিল্ড সরবরাহ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ চলছে বলে জানায় অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করে জানায়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালা (আইএইচআর) ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন ও নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নতুনকথা/এএস