গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক পরবর্তী যৌথ বিবৃতির ওপর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি, পলিটব্যুরো নিন্ম লিখিত বিবৃতি প্রদান করেন।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান লন্ডনে দু’নেতার বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছে তাতে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সময়টি কখন নিশ্চিত হয়েছে তা পরিস্কার নয়। কারণ যৌথ বিবৃতিতে যে শর্ত বিবৃত হয়েছে তাতে ‘সংশয়ের দোলাচল’ থেকে যাচ্ছে। তাছাড়াও নির্বাচনের দাবী তুলে এদেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পূর্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলো থেকে যে দাবী উঠে এসেছিল তা ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে সম্পন্ন করার; লন্ডন বৈঠক সেই গোলপোস্ট থেকে সরে গেলো। জনআকাঙ্খায় ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবীর ভিত্তিই ছিল দেশকে দ্রুত গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে নিয়ে যাওয়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত ফেরানো, রাজনৈতিক সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট স্থির করতে না পারলে বর্তমান পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। অন্তবর্তী সরকার গত ১০ মাসে তেমন কোন সফলতা দেখাতে পারেননি। পাশাপাশি দেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির ক্রমবর্ধমান উত্থান ঘটচ্ছে, শাসনব্যবস্থায় নয়াফ্যাসিবাদী প্রবণতা বাড়ছে যা গণতন্ত্র উত্তরনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে। সুষ্ঠ নির্বাচনী পথও রচনা করতে পারবে না। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ জনগণ এখনও মনে করে ডিসেম্বর ২০২৫ দ্রুত নির্বাচনী সময় সামনে রেখে রোড ম্যাপ ঘোষণা করে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহকে নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে নির্বাচনী অভিযাত্রা শুরু করা ও নির্বাচনী প্রতিশ্রæতির প্রতি জন আস্থা গড়ে তোলা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি।