ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বাবুর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পার্বত্য চুক্তি বাতিলের কথা ইতিহাস মুছে ফেলার আয়োজন। রাজনীতির নতুন মুখোশ, বামপন্থার বিভ্রান্তি ও ভবিষ্যতের সন্ধান চাঁদপুরে সিনিয়র যুব রেড ক্রিসেন্ট ফোরামের নতুন কমিটি গঠন কাবুলে আসন্ন পানি সংকট গোপালগঞ্জে জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ আবুল বারাকত এতদিন বাইরে ছিলেন সেটাই অনেক!

খেলাপি ঋণে নতুন রেকর্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আবারও নতুন এক বিপজ্জনক রেকর্ডে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যা দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। অর্থনীতিবিদরা একে ‘ব্যাংক খাতের গভীর অসুস্থতার প্রতিফলন’ বলে উল্লেখ করছেন।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা থেকে বোঝা যায় মাত্র তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এই ঋণের হার এখন দাঁড়িয়েছে মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশে। যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তুলনায় বিপজ্জনকভাবে বেশি।

 

এক দশকে প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই জায়গা থেকে আজ তা প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ কোটির ঘরে পৌঁছেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রশ্রয়, অদক্ষ তদারকি ও শিথিল নীতির ফলে এই চিত্র তৈরি হয়েছে।

 

গোপন খেলাপি এখন প্রকাশ্যে

বিশেষজ্ঞদের মতে, এত দিন ধরে ঋণ পুনঃতফসিল, ভুল নীতিমালার কারণে রাজনৈতিক প্রভাবে অনেক খেলাপিকে নিয়মিত হিসাব দেখানো হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই সুবিধাগুলো স্থগিত হলে বাস্তব চিত্র বেরিয়ে এসেছে।

 

শীর্ষ গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ

সরকারি দল ঘনিষ্ঠ কিছু গ্রুপ বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা অব্যবহৃত অথবা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ অনেক গ্রুপ এখন খেলাপির তালিকায়। কেউ কেউ জেলে, অনেকে বিদেশে পালিয়ে আছে। রাজনৈতিক আশীর্বাদ ও বিশেষ ছাড়ে এদের বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত হিসাবভুক্ত করা হয়েছিল।

 

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা

ব্যাংকাররা বলছেন, গুটিকয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে গিয়ে গোটা ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে নতুন ঋণ বিতরণে গতি হ্রাস পাচ্ছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন অর্থায়ন থেকে এবং সাধারণ আমানতকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট বাড়ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

খেলাপি ঋণে নতুন রেকর্ড

আপডেট সময় ০৭:২৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আবারও নতুন এক বিপজ্জনক রেকর্ডে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যা দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। অর্থনীতিবিদরা একে ‘ব্যাংক খাতের গভীর অসুস্থতার প্রতিফলন’ বলে উল্লেখ করছেন।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা থেকে বোঝা যায় মাত্র তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এই ঋণের হার এখন দাঁড়িয়েছে মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশে। যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তুলনায় বিপজ্জনকভাবে বেশি।

 

এক দশকে প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই জায়গা থেকে আজ তা প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ কোটির ঘরে পৌঁছেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রশ্রয়, অদক্ষ তদারকি ও শিথিল নীতির ফলে এই চিত্র তৈরি হয়েছে।

 

গোপন খেলাপি এখন প্রকাশ্যে

বিশেষজ্ঞদের মতে, এত দিন ধরে ঋণ পুনঃতফসিল, ভুল নীতিমালার কারণে রাজনৈতিক প্রভাবে অনেক খেলাপিকে নিয়মিত হিসাব দেখানো হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই সুবিধাগুলো স্থগিত হলে বাস্তব চিত্র বেরিয়ে এসেছে।

 

শীর্ষ গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ

সরকারি দল ঘনিষ্ঠ কিছু গ্রুপ বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা অব্যবহৃত অথবা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ অনেক গ্রুপ এখন খেলাপির তালিকায়। কেউ কেউ জেলে, অনেকে বিদেশে পালিয়ে আছে। রাজনৈতিক আশীর্বাদ ও বিশেষ ছাড়ে এদের বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত হিসাবভুক্ত করা হয়েছিল।

 

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা

ব্যাংকাররা বলছেন, গুটিকয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে গিয়ে গোটা ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে নতুন ঋণ বিতরণে গতি হ্রাস পাচ্ছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন অর্থায়ন থেকে এবং সাধারণ আমানতকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট বাড়ছে।