ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নিরাপত্তা বাহিনীর সামনেই ‘ওপেন সিক্রেট’ পাথর পাচার, আদায় হচ্ছে চাঁদাও কলম্বোতেও টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার ঋণ পেল বাংলাদেশ: রিজার্ভ ফের ২৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে শুক্র-শনিবারও সেবা চালু, খুলে গেল ঢাকা দক্ষিণ সিটির সব অফিস বিদেশে এস আলম চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ যুদ্ধের হাত থেকে মানবতাকে রক্ষা করতে বামপন্থীদের ঐক্য জরুরি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ইরান হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নতুন নেতৃত্বে জহিরুল ও মনিরুল ইরান থেকে আবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ, তেহরানকে হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি ছাড়ার পথে ইরান?

বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টে এ নিয়ে একটি বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাকাই।

তবে তেহরান সরাসরি কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, মুখপাত্র বাকাই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন- “ইরান ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটতে চায় না।”

১৯৬৮ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত এনপিটি চুক্তির লক্ষ্য ছিল বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র ছড়ানো রোধ করা। এই চুক্তিতে এখন পর্যন্ত ১৯১টি দেশ সই করেছে। তবে মাত্র পাঁচটি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স- এই চুক্তির আওতায় পারমাণবিক অস্ত্র রাখার অধিকার পায়। বাকি দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে এই চুক্তির আওতায় শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছিল। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসেন। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে এনপিটি চুক্তি থেকে নিজেদের অবস্থান প্রত্যাহার করতে শুরু করে ইরান।

সম্প্রতি ইরানে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, “ইরানের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো আগ্রহ আমাদের নেই।”

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বৈরিতা ইরানকে কৌশলগতভাবে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য করছে। এনপিটি থেকে সরে আসা হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরান আরও একঘরে হয়ে পড়তে পারে, পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের পার্লামেন্টে এনপিটি ত্যাগ নিয়ে বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর জন্য এক গুরুতর বার্তা। তবে শেষপর্যন্ত ইরান চুক্তি ত্যাগ করে কিনা, কিংবা তা করলে কেমন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আসে- তা সময়ই বলে দেবে।

 

নতুন কথা/এএস

নিরাপত্তা বাহিনীর সামনেই ‘ওপেন সিক্রেট’ পাথর পাচার, আদায় হচ্ছে চাঁদাও

পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি ছাড়ার পথে ইরান?

আপডেট সময় ১০:৫৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টে এ নিয়ে একটি বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাকাই।

তবে তেহরান সরাসরি কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, মুখপাত্র বাকাই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন- “ইরান ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটতে চায় না।”

১৯৬৮ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত এনপিটি চুক্তির লক্ষ্য ছিল বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র ছড়ানো রোধ করা। এই চুক্তিতে এখন পর্যন্ত ১৯১টি দেশ সই করেছে। তবে মাত্র পাঁচটি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স- এই চুক্তির আওতায় পারমাণবিক অস্ত্র রাখার অধিকার পায়। বাকি দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে এই চুক্তির আওতায় শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছিল। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসেন। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে এনপিটি চুক্তি থেকে নিজেদের অবস্থান প্রত্যাহার করতে শুরু করে ইরান।

সম্প্রতি ইরানে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, “ইরানের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো আগ্রহ আমাদের নেই।”

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বৈরিতা ইরানকে কৌশলগতভাবে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য করছে। এনপিটি থেকে সরে আসা হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরান আরও একঘরে হয়ে পড়তে পারে, পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের পার্লামেন্টে এনপিটি ত্যাগ নিয়ে বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর জন্য এক গুরুতর বার্তা। তবে শেষপর্যন্ত ইরান চুক্তি ত্যাগ করে কিনা, কিংবা তা করলে কেমন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আসে- তা সময়ই বলে দেবে।

 

নতুন কথা/এএস