ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বাবুর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পার্বত্য চুক্তি বাতিলের কথা ইতিহাস মুছে ফেলার আয়োজন। রাজনীতির নতুন মুখোশ, বামপন্থার বিভ্রান্তি ও ভবিষ্যতের সন্ধান চাঁদপুরে সিনিয়র যুব রেড ক্রিসেন্ট ফোরামের নতুন কমিটি গঠন কাবুলে আসন্ন পানি সংকট গোপালগঞ্জে জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ আবুল বারাকত এতদিন বাইরে ছিলেন সেটাই অনেক!
জমি না হলে মৃত্যু

পাকিস্তানে সামরিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে কৃষক বিদ্রোহ

সংগৃহিত ছবি

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘Green Pakistan Initiative’ (সবুজ পাকিস্তান উদ্যোগ)-এর বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিরোধ আজ নতুন মাত্রা পেয়েছে। জমি রক্ষার দাবিতে হাজারো কৃষক আবারও রাস্তায় নেমে এসেছেন। এই আন্দোলন এখন কেবল জমির অধিকার নয়, বরং মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ও কৃষক নেতৃত্বাধীন ভবিষ্যতের সংগ্রামে রূপ নিয়েছে।

 

সামরিক বাহিনী এবং রাষ্ট্রের যৌথ মালিকানাধীন প্রকল্পের আওতায় হাজার হাজার একর কৃষিজমি কর্পোরেট ব্যবস্থায় তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অথচ এসব জমিতে কয়েক প্রজন্ম ধরে কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছেন। এখন তাঁদের অবৈধ দখলদার বলা হচ্ছে এবং উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।

 

স্থানীয় কৃষক সংগঠন Anjuman Mazareen Punjab (AMP) জানায়, এই প্রকল্পের নামে সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জমি দখল করছে, পুলিশ গ্রেপ্তার চালাচ্ছে, এমনকি ক্ষেতের ফসল পর্যন্ত ধ্বংস করছে। আন্দোলনকারীদের দাবি এই ‘উন্নয়ন’ প্রকল্প আসলে সামরিক পুঁজিবাদের রূপ। এর মাধ্যমে কর্পোরেট কৃষিকাজ, একজাতি চাষ, রাসায়নিক সার ও পানির উপর নির্ভরশীল একটি পরিবেশ বিধ্বংসী ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

AMP-এর এক নেতার ভাষায়, আমাদের কাছে অস্ত্র নেই, ক্ষমতা নেই, কিন্তু আছে মাটি আর ইতিহাস। জমিই আমাদের পরিচয়।

 

প্রতিরোধ দমন করতে রাষ্ট্র নানা দমননীতি গ্রহণ করেছে অভিযোগ রয়েছে, পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার, ভীতি প্রদর্শন এবং মিডিয়ায় কৃষকদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।

 

এদিকে আন্তর্জাতিক পরিসরে কৃষকদের এই সংগ্রাম বেশ কিছু বামপন্থী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সমর্থন পেয়েছে। ভারত, ফিলিপাইন, ল্যাটিন আমেরিকা, ও আফ্রিকার বিভিন্ন কৃষক সংগঠন এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।

 

AMP বলছে, আমরা আধুনিকতা চাই, কিন্তু এমন আধুনিকতা নয় যা আমাদের মাটি কেড়ে নেয়। উন্নয়ন চাই, কিন্তু এমন নয় যা আমাদের শ্রম অস্বীকার করে।

 

এই আন্দোলন শুধু পাকিস্তানের কৃষকদের নয় গ্লোবাল দক্ষিণের বহু ভূমিহীন মানুষের সংগ্রামের প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছে। কৃষকরা ঘোষণা দিয়েছেন: “জমি না হলে মৃত্যু” এটি শুধুই প্রতিরোধের ভাষা নয়, এটি একটি নতুন পৃথিবীর কল্পনা।

রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলীর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

জমি না হলে মৃত্যু

পাকিস্তানে সামরিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে কৃষক বিদ্রোহ

আপডেট সময় ১০:৪৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘Green Pakistan Initiative’ (সবুজ পাকিস্তান উদ্যোগ)-এর বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিরোধ আজ নতুন মাত্রা পেয়েছে। জমি রক্ষার দাবিতে হাজারো কৃষক আবারও রাস্তায় নেমে এসেছেন। এই আন্দোলন এখন কেবল জমির অধিকার নয়, বরং মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ও কৃষক নেতৃত্বাধীন ভবিষ্যতের সংগ্রামে রূপ নিয়েছে।

 

সামরিক বাহিনী এবং রাষ্ট্রের যৌথ মালিকানাধীন প্রকল্পের আওতায় হাজার হাজার একর কৃষিজমি কর্পোরেট ব্যবস্থায় তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অথচ এসব জমিতে কয়েক প্রজন্ম ধরে কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছেন। এখন তাঁদের অবৈধ দখলদার বলা হচ্ছে এবং উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।

 

স্থানীয় কৃষক সংগঠন Anjuman Mazareen Punjab (AMP) জানায়, এই প্রকল্পের নামে সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জমি দখল করছে, পুলিশ গ্রেপ্তার চালাচ্ছে, এমনকি ক্ষেতের ফসল পর্যন্ত ধ্বংস করছে। আন্দোলনকারীদের দাবি এই ‘উন্নয়ন’ প্রকল্প আসলে সামরিক পুঁজিবাদের রূপ। এর মাধ্যমে কর্পোরেট কৃষিকাজ, একজাতি চাষ, রাসায়নিক সার ও পানির উপর নির্ভরশীল একটি পরিবেশ বিধ্বংসী ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

AMP-এর এক নেতার ভাষায়, আমাদের কাছে অস্ত্র নেই, ক্ষমতা নেই, কিন্তু আছে মাটি আর ইতিহাস। জমিই আমাদের পরিচয়।

 

প্রতিরোধ দমন করতে রাষ্ট্র নানা দমননীতি গ্রহণ করেছে অভিযোগ রয়েছে, পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার, ভীতি প্রদর্শন এবং মিডিয়ায় কৃষকদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।

 

এদিকে আন্তর্জাতিক পরিসরে কৃষকদের এই সংগ্রাম বেশ কিছু বামপন্থী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সমর্থন পেয়েছে। ভারত, ফিলিপাইন, ল্যাটিন আমেরিকা, ও আফ্রিকার বিভিন্ন কৃষক সংগঠন এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।

 

AMP বলছে, আমরা আধুনিকতা চাই, কিন্তু এমন আধুনিকতা নয় যা আমাদের মাটি কেড়ে নেয়। উন্নয়ন চাই, কিন্তু এমন নয় যা আমাদের শ্রম অস্বীকার করে।

 

এই আন্দোলন শুধু পাকিস্তানের কৃষকদের নয় গ্লোবাল দক্ষিণের বহু ভূমিহীন মানুষের সংগ্রামের প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছে। কৃষকরা ঘোষণা দিয়েছেন: “জমি না হলে মৃত্যু” এটি শুধুই প্রতিরোধের ভাষা নয়, এটি একটি নতুন পৃথিবীর কল্পনা।