কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে ঘটে গেল এক বেদনাদায়ক ও নৃশংস ঘটনা—এক হিন্দু নারীকে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়ভাবে পরিচিত এক রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ফজর আলী, যিনি এলাকায় নিজেকে বিএনপির সক্রিয় কর্মী এবং পদপ্রত্যাশী বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।
ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৫ দিন ধরে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তার বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। তিনি অনুরোধ অস্বীকার করলে ফজর আলী শক্তি প্রয়োগে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন এবং নারীর সম্মতির বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
পাশের বাড়িতে একটি ধর্মীয় পূজার আনুষ্ঠান চলাকালে ঘটনার শব্দ শুনে ভুক্তভোগীর চাচি শ্বরসতী বর্মন সন্দেহজনক কিছু টের পান এবং আশেপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সজীব জানান, “ঘরের দরজায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। দরজা খুলে আমরা ভয়ংকর দৃশ্য দেখতে পাই—ফজর আলী ওই নারীকে জোর করে ধর্ষণ করছিলেন।”
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ফজর আলী রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অপকর্মে লিপ্ত। “তিনি শুধু বিএনপি পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব খাটাননি, নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন,” বলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
ঘটনার পরপরই থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং মামলা গ্রহণ নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান। তিনি জানান, “ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে। তাকে খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।”
ভুক্তভোগীর পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। চাচা নকুল বর্মনের কণ্ঠে উৎকণ্ঠার সুর—“আজ যদি আমার ভাতিজির ওপর এমন হয়, কাল আমাদের পরিবারের অন্য মেয়েরাও কি নিরাপদ থাকবে? আমরা দ্রুত বিচার চাই এবং নিরাপত্তা দাবি করছি।”
এখনো অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।